কার্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ
(Classification of computer according to the tasks performed) :
(a) সাধারণ পর্যায়ের কম্পিউটার (General Purpose Computer) : এই প্রকারের কম্পিউটার নানাবিধ কাজ করতে পারে । এর সঠিকতা ( Accuracy)-র মান কম । পার্সোনাল কম্পিউটার (PC)এই প্রকারের কম্পিউটার ।
(b) বিশেষ উদ্দেশ্য সাধক কম্পিউটার (Special Purpose Computer): এই প্রকার কম্পিউটার কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই কম্পিউটারে নির্ভুল কাজের মান উন্নত । সুপার কম্পিউটার কম্পিউটার উদাহরণ |
ব্যবহৃত লজিকের ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ (Classification of computer according to Logic Used) :
(a) অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer) : এই প্রকার কম্পিউটার অ্যানালগ ডেটা (Analogous data) নিয়ে কাজ করে।
(b) ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer) :
এই প্রকার কম্পিউটার ডিজিটাল সিগন্যাল (Digital Signal ) নিয়ে কাজ করে |
ডিজিটাল সিগন্যাল বাইনারি সংখ্যা 1 এবং 0 দ্বারা গঠিত ।
1 এবং 0 দ্বারা যথাক্রমে ভোল্টেজ এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি অথবা অন (ON) বা অফ (OFF) অবস্থা বোঝানো হয় ।
হাইব্রিড বা শংকর কম্পিউটার (HybridComputer) :
যে কম্পিউটার অ্যানালগ (Analog) এবং ডিজিটাল (Digital) কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত ,তাকে হাইব্রিড (Hybrid Computer) কম্পিউটার বলে । অ্যানালগ কম্পিউটারের কাজের গতি এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের নির্ভুলতা হাইব্রিড কম্পিউটার পাওয়া যায় ।
আকৃতি অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ (Classification according to size) :
- বৃহৎ কম্পিউটার সিস্টেম ( Large Computer System ) :
(a) সুপার কম্পিউটার (Super computer) : পৃথিবীতে আবিষ্কৃত সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামি গণক যন্ত্র হলো সুপার কম্পিউটার |
সুপার কম্পিউটারের দুটি গুন আব্যশক ।
- একটি হলো যেকোনো ব্যর্থতা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসা ও
- অপরটি হল সমান্তরাল প্রক্রিয়াকরণ।
সাধারণ কম্পিউটারে একটি সিপিইউ (CPU) থাকায় এরা একই সময়ে একটি মাত্র নির্দেশ পালন করে কিন্তু সুপারকম্পিউটার অনেকগুলো CPU থাকায় এরা অনেকগুলি নির্দেশ একই সময়ে পরিচালনা করতে পারে একেই সমান্তরাল প্রক্রিয়াকরণ বলা হয়।
(b) মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer) :
এটি সুপার কম্পিউটারের চেয়েও ধীর গতিসম্পন্ন এবং দামে কম এরা কয়েক কোটি প্রোগ্রামের নির্দেশ প্রতি সেকেন্ডে পালন করতে পারে বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে বিপুল নিয়ে কাজ হয় সেখানে এই কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ : IBM S/390
(c) মিনি কম্পিউটার ( Mini Computer) : এগুলি মেইনফ্রেম বা জেনারেল পারপাস কম্পিউটারের চেয়ে ছোট এবং কম ব্যয়বহুল কিন্তু মেন ফ্রেমের চেয়ে অনায়াসে স্থানান্তরের নিয়ে যাওয়া যায় ।
মিনি কম্পিউটার (Mini Computer)-এর ব্যবসায়িক ও কারিগরি বিদ্যা (Commercial and technical) সংক্রান্ত কাজকর্ম অন্যান্য শক্তিশালী কম্পিউটার এর চেয়ে সহজ ভাবে করা যায় |
- ক্ষুদ্র কম্পিউটার সিস্টেম (Small Computer System) : একে চার (4) ভাগে ভাগ করা যায়
(a) মাইক্রো কম্পিউটার (Microcomputers):
এগুলি সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে কম দামি কম্পিউটার |
এরা বাহ্যিক আকৃতির ও সার্কিটের ক্ষুদ্র তার জন্য মাইক্রো শব্দটি নামের আগে ব্যবহৃত হয়েছে ।
এগুলি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এটি দুই প্রকার পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer or PC) এবং ওয়ার্কস্টেশন (Workstation) |
(i) পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) : এগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজনের ব্যবহার উপযোগী করে তৈরী পেশাদার (Professionals) এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী |
- অফিসে স্বয়ংক্রিয়তা এগুলি অত্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় |
- পেশাদারী কাজ (Professionals application) , ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট , ওয়ার্ড প্রসেসিং এবং শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পার্সোনাল কম্পিউটার (PC)ব্যবহৃত হয় |
- IBM সর্বপ্রথম কম্পিউটার বাজারে আনে |
- পার্সোনাল কম্পউটারের অনেক মডেল হয়
এর মধ্যে PC, PC-XT, PC-AT উল্লেখযোগ্য |
(ii) ওয়ার্ক স্টেশন (Workstation) : এগুলি ব্যয়বহুল এবং শক্তিশালী যন্ত্র |
- প্রযুক্তিবিদ বৈজ্ঞানিক এবং পেশাদার মহল এই যন্ত্র ব্যবহার করেন |
- এগুলি অনেকটা একসঙ্গে প্রসেস করে জটিল প্রোগ্রাম চালাতে পারে |
- এটির প্রদর্শন পর্দা যথেষ্ট উন্নত মানের একটি রঙিন গ্রাফিক্স এর উপযুক্ত |
- নেটওয়ার্ক সংযোগ এর সাহায্যে যুক্ত হয় |
উদাহরণ : Sun , Apollos , Hewlett - Packard.
- বহনযোগ্য কম্পিউটার (Portable Computer) :
- বর্তমান যুগের চাহিদা অনুযায়ী পার্সোনাল কম্পিউটারের আকৃতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে |
- বর্তমানে আকৃতিতে অনেক ছোট কিন্তু গুনগতমান অত্যন্ত উন্নত এমন কম্পিউটারে চাহিদাও বাড়ছে |
- এই প্রকল্পের মধ্যে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় তা হলো (Portable)কম্পিউটার |
- এই কম্পিউটার গুলি খুব সহজেই থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়
এটি প্রধানত তিন (3) প্রকারের হয় :
1. ল্যাপটপ বা নোটবুক পার্সোনাল কম্পিউটার
2. সাবনোট বুক
3. পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট
1. ল্যাপটপ এবং নোটবুক (Laptop and Notebook) :
- ল্যাপটপ এবং নোটবুক (Laptop and Notebook )কম্পিউটার প্রযুক্তিকে ভ্রাম্যমান করে তুলেছে |
- এই যন্ত্রগুলি ব্যাটারিচালিত হওয়ায় যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে এগুলিকে নিয়ে যাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায় |
- নোটবুক এর আকৃতি ল্যাপটপের চেয়েও ছোট হয় |
- ল্যাপটপ এবং নোটবুক এর পার্থক্য মূলত আকৃতিগত এবং ওজনগত |
- উন্নত মানের মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) , উন্নত গ্রাফিকস (Graphics) , যথেষ্ট সংস্থান (Memory Space) এবং মাউস ইনপুট (Input) দেখা যায় |
- ল্যাপটপ এবং নোটবুকে , সিডি-রম ড্রাইভ ( CD-ROM Drive), অপটিক্যাল স্টোরেজ (Optical Storage Device) ডিভাইস দেখা যায় |
- এই যন্ত্র গুলো আবার নানা প্রকারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
2. সাবনোট বুক (Subnotebook) :
যে সকল ব্যক্তির বেশি ঘোরাঘুরি কাজ থাকে বা যাদের বেশির ভাগ সময়ই যানবাহনে কাটে তাদের পক্ষে সাব নোটবুক অত্যন্ত উপকারী |
- ওজনে হালকা করার জন্য এদের কোন কিবোর্ড থাকে না এবং স্ক্রিনও ছোটো হয়।
- এই কম্পিউটার গুলি যেকোনো ব্রিফকেসে অনায়াসে ধরে যায় ।
- এদের এক্সটার্নাল ড্রাইভ থাকে।
- হ্যান্ড হেল্ড কম্পিউটার এগুলি সাব নোটবুক এর চেয়ে অনেক ছোট | এগুলি প্রধানত ডেটা সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয় । এগুলি রেকর্ড রাখতে পারে এবং প্রয়োজনে সরবরাহ করতে পারে পুলিশদের ক্ষেত্রে এগুলোর ব্যবহার সুবিধাজনক ।
3. পেন বেসড কম্পিউটিং (Pen - based Computing) : এটি এক প্রকারের ক্ষুদ্র কম্পিউটার ।
- এটি একটি বৈদ্যুতিন রাইটিং প্যাড (Writing Pad)এবং আলোক সংবেদী বৈদ্যুতিক পেন দ্বারা গঠিত |
- এক্ষেত্রে কোন কীবোর্ড -এর প্রয়োজন হয় না ।
- এগুলি পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নামে পরিচিত ।
- এই যন্ত্রে পেন ইনপুট , লেখার স্বীকৃতি (Writing recognition), পার্সোনাল অরগানাইজেশন টুল (Personal organisation tool ) যোগাযোগের সামর্থ্য (Communication capability) একটি ছোট্ট প্যাকেজ থাকে |
উদাহরণ : Apple- এর নিউটন (Newton).
0 মন্তব্যসমূহ